বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১৮

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে লাখো মানুষের সামনে জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তির বাণী শোনান। এই দিনে তিনি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভায় ঐতিহাসিক ভাষণে জাতিকে শুনিয়েছিলেন মুক্তির বাণী ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এরই মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন ইতিহাসের এ মহানায়ক। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার এবং জাতীয় পত্রিকাসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।
বিশ্ব ঐতিহ্যে এ বছর ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে জাতির জনকের ঐতিহাসিক ভাষণ। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো প্যারিসে অনুষ্ঠিত এর দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে গত বছরের ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তা সংস্থাটির ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করেছে। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা-বিশেষজ্ঞ কমিটি কর্তৃক দু’বছর ধরে প্রামাণ্য দালিলিক যাচাই-বাছাই শেষে ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের সম্মতিক্রমে এটি সংস্থার নির্বাহী কমিটি কর্তৃক চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়। দীর্ঘ ৪৬ বছর পর হলেও জাতিসংঘের মতো বিশ্ব সংস্থার এ সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
এর ফলে বাঙালির ইতিহাসের মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রণোদনা সৃষ্টিকারী ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ মানবজাতির মূল্যবান ও ঐতিহ্যপূর্ণ সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত ও গৃহীত হল। স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকৃত ৩০ লাখ শহীদ আর সম্ভ্রম হারানো কয়েক লাখ মা-বোনসহ আমাদের সবার জন্য এটি এক মহা-আনন্দ ও বিরল সম্মানের বিষয়।
৭ মার্চের উত্তাল সেই দিনটিতে ঢাকা পরিণত হয়েছিল মিছিলের শহরে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মানুষ পায়ে হেঁটে, বাস-লঞ্চে কিংবা ট্রেনে চেপে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে সমবেত হয়েছিলেন। লাখ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছিলেন সেদিন। সেদিন বিকেলে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি আর হাতাকাটা কালো কোট পরে বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু দৃপ্ত পায়ে মঞ্চে উঠলেন। দাঁড়ালেন মাইকের সামনে। আকাশ-কাঁপানো স্লোগান আর মুহুর্মুহু করতালির মধ্যে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানালেন অপেক্ষমাণ জনসমুদ্রের উদ্দেশে। তারপর শুরু করলেন তার সেই ঐতিহাসিক ভাষণ। তিনি বললেন ‘তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ! এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’
এই ভাষণের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে তুলে আনেন এক অনন্য উচ্চতায়। এতে সামরিক আইন প্রত্যাহার, সৈন্যবাহিনীর ব্যারাকে প্রত্যাবর্তন, শহীদদের জন্য ক্ষতিপুরণ ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের চারদফা দাবি উত্থাপন করেন তিনি।
রেসকোর্স ময়দান থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সরাসরি প্রচারের সব আয়োজন ছিল ঢাকা বেতার কর্তৃপক্ষের। প্রচার শুরুও হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান সরকার প্রচার বন্ধ করে দিলে বেতারের সব বাঙালি কর্মচারী বেতার ভবন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের সম্প্রচার কার্যক্রম। গভীর রাতে অবশ্য বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্প্রচারের অনুমতি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীনতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় ঘটনা। মূলত বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের আহ্বানেই জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চের কালরাতে পাকবাহিনীর নৃশংস গণহত্যার পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। নয়মাসের যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের।
দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। বিকাল ২টায় ৭ মার্চের ভাষণের স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে জনসভা। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। আওয়ামী লীগের সকল শাখা কমিটি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সংগে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ স্মরণ করবে।

মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন


অনলাইন ডেস্ক: বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে জাতি ভাষা শহীদদের স্মরণের মাধ্যমে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন শুরু করেছে।
অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাত ১২টা ১টি মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...’ বাজানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং উচ্চ পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান তাঁকে স্বাগত জানান।
এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রিবর্গ ও দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুনরায় পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ দলীয় নেতাদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পরে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী প্রধান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে মহাপুলিশ পরিদর্শক পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে এ্যাটর্নী জেনারেল এ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকশিনারবৃন্দ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এদিকে সারা দেশের ন্যায় লালমনিরহাটেও জেলা প্রশাসন,আওয়ামীলীগ,নন্দিনী সাহিত্যপরিষদ,জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটিসহ বিভিন্ন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদদের আত্মার প্রতি বিনম্রশ্রদ্ধা জানান।   

শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৮

Govt will move ahead evaluating past: PM

Prime Minister Sheikh Hasina today addressed the nation on completion of the fourth year of her second consecutive term in office, saying the incumbent government would go ahead evaluating its success and failure of the past.

"We do not want to cling to the past, but would not forget it either. We will move forward by evaluating the successes and failures of the past and correcting the mistakes and faults," she said in her televised address this evening.

The premier said the country now was set on the track of the development highway when there was no scope for looking back and expected the present and future generation to take the responsibility for clearing all obstacles to the way of prosperity and progress.

Sheikh Hasina urged the people to take the right decision in coming days remembering what the country's position was ten years ago.

She expressed her firm conviction that all registered political parties would take part in the next general election to help uphold the country's democratic process and noted that the election commission by now earned people's confidence.

"The Honourable president constituted the new Election Commission through a search committee. This commission has by now conducted several local body elections including two city corporation polls," the premier said.

But she simultaneously warned people against a possible conspiracy to foil the next election saying a vested group might try to create a chaotic situation ahead of the polls and "so, people should remain careful".

The premier said in line with the constitution the next election was set to be held at the end of 2018 and ahead of the polls an election time government will be formed and "that government will provide all assistance to the election commission".

"People want peace. They will no longer accept any move for elections boycott and destruction of public property in the name of movement," she said.

In her 26-minute address the premier sought national unity for future Bangladesh saying "Let all irrespective of party and opinions join hands to build a developed, happy and prosperous Bangladesh unitedly for the future generation".

Sheikh Hasina reiterated her determination to build Bangladesh as a middle income country by 2021 and a developed and prosperous one by 2041.

"We are not sitting idle with only our goal. We have formulated necessary plan and is implementing those plans to achieve the cherished goal," she said.

The premier said 47 years elapsed since the independence and now "we want to live as a dignified nation keeping our head high in the world community".

"If it is your expectation, we will always remain aside you," she said.


Sheikh Hasina said with people's mandate she assumed office thrice and tried heart and soul to protect the dignity of their mandate and expected the people to evaluate her government's success or failure.

She said Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman liberated the country to implement an ideology and spirit aimed at giving the people rid of hunger and poverty while "my determination is to implement Bangabandhu's aspiration".

The premier said an orchestrated plot debarred Awami League's return power in 2001 but after that election people saw a reign of political rouges to mark the subsequent years with unbridled corruption, plundering of public money, emergence of terrorism and indiscriminate political killings.

Sheikh Hasina said for seven years Bangladesh suffered as BNP and their cohorts were installed to power while after assuming office with peoples mandate in 2009 polls her government continued to make sincere efforts for overall national.

She, however said counting from the time of Bangabandhu's 1975 assassination, Bangladesh was virtually deprived of development for 28 years as the subsequent rulers did nothing for public welfare other than making their own fortune.

"Now all development plans in the country are being implemented with specific plans for achieving specific goals," the premier said.

But, she said BNP-Jamaat alliance created an unprecedented political mayhem during 2013-2015 killing some 500 people, wounding several thousand others, burning down 3,500 transports, 29 railway bogies and nine lunches and 76 government offices.

"Even they set mosques ablaze and burnt hundreds of copies of holy Quran. Even roadside trees and domestic animals could not escape their wrath," she said.

The premier said her party's 2014 election victory helped Bangladesh to be on the development track for nine consecutive years while its economic growth was spurring in full swing defying the global economic recession.

She said compared to GDP size of about Taka 4.84 crore during the BNP regime in 2006, the figure now stood at over 19.75 crore as the growth rate grew to 7.2 percent from 5.2 at that time.

The premier said Bangladesh was now being looked at with appreciation by international community as its per capita income rose to US$ 1,610 which was only $543 in 2005, reducing the poverty rate to 22 percent from 41 percent during the period.

The government, she said, undertook a plan to set up 100 special economic zones in the country to create employment opportunities adding none would remain jobless or starve in future once the economic zones were established.

The premier simultaneously highlighted the government's success in combating militancy and terrorism and appreciated the performance of the law enforcing agencies in maintaining order.

মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৮

BGB-BSF are working in a joint effort to prevent smuggling and terrorism

 Lalmonirhat correspondent, January 9th: Border Guard Bangladesh (BGB) Director General Major General Abul Hossain said, "Man killing is not acceptable to anyone on the border. BGB-BSF jointly initiated Digital Border Management system to prevent any further killings in the border. Work is also going on to declare some border areas free of crime.He said these as the chief guest at a discussion meeting on distribution of cold clothes among the local helpless people at Jamgram Government Primary School ground on Tuesday noon (January 9th) at Patgram upazila of Patgram upazila. Rangpur Regional Officer Brig Gen AKM Saiful Islam, Director of Rangpur-7 BGB Battalion Lt. Colonel Mohammad Mahfuz ul Bari, Lalmonirhat District Commissioner Shafiul Arif, Patgram Upazila Nirbahi Officer Noor Kutubul Alam, Additional Superintendent of Police NM Nasir Uddin and Baura UP Chairman Abul Kalam Azad Basuni were also present in the meeting.DG Major General Abul Hossain said, "Digital Smart Border Management has been introduced in different country boundaries along the country including Hili. In phases, the work of introducing digital Smart Border Management is going on to ensure border security of BGB-BSF border across the country. Because smuggling and terrorist activities are not a single issue of India-Bangladesh alone; This is a problem for the whole world. This is why it is a common issue for both countries. In order to solve the problem, the talks between DG at both the countries continue to be ongoing. BGB-BSF field level discussion is underway in this regard. 'Referring to the BGB's manpower crisis, he said, "In the directive of Prime Minister Sheikh Hasina, steps have been taken to recruit personnel already." Initiatives have been taken to build roads on the border, which are not BGB camps, and construction of roads to facilitate joint border patrol. BGB-BSF has a great relationship now than ever before. As a result, the killing of the border has decreased. BGB and BSF are discussing in high level to bring down border killings. Within a few days, the BSF is working for the killing of the border.


চোরাচালান ও সন্ত্রাসী প্রতিরোধে বিজিবি-বিএসএফ’র একযোগে কাজ চলছে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি ।। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেছেন, ‘সীমান্তে মানুষ হত্যা কারো কাছে গ্রহণ যোগ্য নয়। সীমান্তে যাতে আর কোনো হত্যা কান্ডের ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে ডিজিটাল বর্ডার ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিছু কিছু সীমান্তকে অপরাধমুক্ত অঞ্চল ঘোষনা করারও কাজ চলছে।’ 
মঙ্গলবার দুপুরে (৯ জানুয়ারি) লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা সানিয়াজান নদীর ধারে জমগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় অসহায় লোকজনদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ পূর্ব এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম সাইফুল ইসলাম, রংপুর-৭বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মোঃ মাহফুজ উল বারী, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ, পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর কুতুবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনএম নাসির উদ্দিন ও বাউরা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বসুনীয়াসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 
ডিজি মেজর জেনারেল আবুল হোসেন আরো বলেন, ‘হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর সীমান্তে ডিজিটাল স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট চালু করার কাজ চলছে। কারণ চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুধু ভারত-বাংলাদেশের একক কোনো সমস্যা নয়; এটি সারা বিশ্বের জন্যই সমস্যা। এজন্য এটি উভয় দেশের জন্য কমন ইস্যু। যাতে সমস্যা সমাধান করা যায়, সেজন্য উভয় দেশের ডিজি পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এক্ষেত্রে সমাধানে বিজিবি-বিএসএফ মাঠ পর্যায়েও আলোচনা চলছে।’  
বিজিবির জনবল সংকটের বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইতোমধ্যে জনবল নিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেসব সীমান্তে বিজিবির ক্যাম্প নেই, সেসব সীমান্তে ক্যাম্প নির্মাণ ও যৌথ সীমান্ত টহল সহজ করতে রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে এক চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। ফলে সীমান্তে হত্যা কমেছে। তবে সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে বিজিবি ও বিএসএফের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। কিছু দিনের মধ্যেই সীমান্ত হত্যা আর যাতে না ঘটে, সেজন্য বিএসএফ কাজ করছে।’

বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে আটক:১ নির্যাতনে গুরুতর আহত অপর একজন



নিজস্ব প্রতিবেদক।  ।   আজ বৃহস্পতিবার ভোরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী সীমান্ত হতে আব্দুল লতিফ(২৫) নামে এক বাংলাদেশীকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ।অপরদিকে বিএসএফ’র নির্যাতনে আজম আলী (২২) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিজিবি ও এলাকাবাসী জানায়,আজ বৃহস্পতিবার ভোরে দুই বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী বুড়িমারী সীমান্তের ৮৪৩নং মূল সীমানা পিলারের কাছে গরু আনার জন্য যায়।এসময় ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা ৬১ বিএসএফের টহলরত দলের সদস্যরা তাদের আটক করে মারধোর করে।এসময় আজম আলী নামে একজন পালিয়ে আসতে পারলেও আব্দুল লতিফকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়।পালিয়ে আসা গুরুতর আহত আজম আলী পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত আযম আলী বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।এবং আটক হওয়া আব্দুল লতিফ নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে।রংপুর ৬১বিজিবি’র অধিনায়ক মেজর সৈয়দ মনিরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন এ ব্যাপারে কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে এবং পতাকা বৈঠকের আহবান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

‘থার্টিফার্স্ট নাইটে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান করা যাবে না’- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে থার্টিফার্স্ট নাইটে রাজধানীর উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে পুলিশ কনভেনশন হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাবের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খোলা জায়গায় জড়ো হয়েও কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। একই সঙ্গে ওই দিন সন্ধ্যার পর রাজধানীর সব বার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘থার্টিফার্স্ট নাইটেও আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্টভাবে প্রস্তুত রয়েছেন, যাতে কোনো ধরনের অরাজক পরিস্থিতি কিংবা যাতে কোনোরকম নাশকতা যাতে না হয়, আমরা সেজন্য কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছি। সূর্য অস্তের পরে বাইরে কেউ কোনো অনুষ্ঠান করতে পারবে না এবং যা-ই করা হোক হলগুলিতে কিংবা বাসাবাড়িতে করবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো জায়গায় একত্র না হয়। যেমন ঢাকা ভার্সিটিতে একত্র হওয়ার একটা আমরা সবসময় দেখেছি, আমরা দেখেছি গুলশানের দিকে একটা খামাখাই হৈচৈ করতে। সেগুলি যাতে না করে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’