মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

‘থার্টিফার্স্ট নাইটে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান করা যাবে না’- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে থার্টিফার্স্ট নাইটে রাজধানীর উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে পুলিশ কনভেনশন হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাবের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খোলা জায়গায় জড়ো হয়েও কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। একই সঙ্গে ওই দিন সন্ধ্যার পর রাজধানীর সব বার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘থার্টিফার্স্ট নাইটেও আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্টভাবে প্রস্তুত রয়েছেন, যাতে কোনো ধরনের অরাজক পরিস্থিতি কিংবা যাতে কোনোরকম নাশকতা যাতে না হয়, আমরা সেজন্য কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছি। সূর্য অস্তের পরে বাইরে কেউ কোনো অনুষ্ঠান করতে পারবে না এবং যা-ই করা হোক হলগুলিতে কিংবা বাসাবাড়িতে করবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো জায়গায় একত্র না হয়। যেমন ঢাকা ভার্সিটিতে একত্র হওয়ার একটা আমরা সবসময় দেখেছি, আমরা দেখেছি গুলশানের দিকে একটা খামাখাই হৈচৈ করতে। সেগুলি যাতে না করে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’

৬টি কোচিং সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল

ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ও অননুমোদিত সাইনবোর্ড, পোস্টার, ফেস্টুন, ওভারহেড সাইনবোর্ড অপসারণ না করায় ৬টি কোচিং সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। মঙ্গলবার বিকেলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএনসিসি।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএনসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া।
ইউসিসি কোচিং সেন্টার, ইউনিএইড কোচিং সেন্টার, আইকন কোচিং সেন্টার, আইকন প্লাস কোচিং সেন্টার, ওমেগা কোচিং সেন্টার এবং প্যারাগন কোচিং সেন্টার। সবগুলো কোচিং এরই ফার্মগেট শাখার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
অবৈধভাবে পোস্টার-ব্যানার লাগানোর কারণে ইতোপূর্বে এসব কোচিং সেন্টারকে অবগত করা এবং ক্ষেত্র বিশেষে এদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলেও জানায় ডিএনসিসি। সর্বশেষ গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে এগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
এ বিষয়ে ডিএনসিসি’র প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে আমাদের কাছে একটি রিকোজিশন লেটার পাঠানো হয় এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল চেয়ে। এর আগেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাথে ফার্মগেট এলাকার বেশকিছু কোচিং সেন্টারের কর্তৃপক্ষের সাথে সভা হয়। সেখানে তাদেরকে এসব অবৈধ সাইনবোর্ড, ব্যানার সরিয়ে ফেলতে বলা হয়। অনেকে নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেয়। আর যারা সরায়নি তাদের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়’।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এর আগেও আইনী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আগেও এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ‘দেয়াল লিখন ও পোস্টার নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২’ এর অধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয় । এরপরেও তারা তাদের এসব কর্মকান্ড অব্যাহত রাখায় ‘দ্য সিটি কর্পোরেশন (ট্যাক্সেশন) রুলস ১৯৮৬’ অনুযায়ী তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। সিটি কর্পোরেশনের কর অঞ্চল-৫ তাদের এ লাইসেন্স বাতিল করে’।
লাইসেন্স বাতিলের ফলে এসব কোচিং সেন্টারের ফার্মগেট শাখার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। তবে কর অঞ্চল-৫ এর বাইরে থাকা অন্যান্য শাখার কার্যক্রম চালু রয়েছে।